কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের আবদুল মান্নান ওরফে কামাল ড্রাইভার, আবু হানিফ সরকার মেম্বার, জাহাঙ্গীর আলম খান ও গিয়াস উদ্দিন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য শিল্প পুলিশকে নির্দেশ নিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বেশকিছু দিন ধরে বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষক মো. সেলিমকে অফিস থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা এবং পদত্যাগ করার হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধান শিক্ষক সেলিম বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার পদ্মকোট উত্তরপাড়ার রাস্তা থেকে আসামিরা তাঁকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে কামাল ড্রাইভারের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ওই প্রধান শিক্ষক চিৎকার করলে তাঁর মুখ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে কামালের ঘরে নিয়ে ১০০ টাকার ৩টি অলিখিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ২-৩টি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে। ওই কাগজেই পদত্যাগপত্র লেখা হয়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়। এ সময় তাঁর থেকে টাকা ও মোবাইল লুটে নেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, আসামিরা এক ঘণ্টা আটকে রেখে বলে, স্বেচ্ছায় আপনাকে পদত্যাগ করতে বলেছিলাম, পদত্যাগ করেননি। তাই এখন স্বাক্ষর দেওয়া স্ট্যাম্প ও কাগজ দিয়ে পদত্যাগপত্র তৈরি করা হবে।
বাদীর আইনজীবী মনির হোসেন বলেন, জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তা প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য শিল্প পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।