চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার ধরকে বিদ্যালয়ে যোগদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দেড় বছর পর গতকাল রোববার অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এই বিদ্যালয়েও স্ব্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন দিলীপ কুমার ধর বিদ্যালয়ে এসে নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে তাতে বাধা দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবলা কান্তি দেব। এ সময় বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় রামদাশ হাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাকিবুল ইসলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
জানা যায়, বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার ধরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় গত ২১ জানুয়ারি। কিন্তু হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা এক রিট পিটিশনের রায়ে কোনো শিক্ষককে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যেহেতু ৬০ দিনের মধ্যে ওই প্রধান শিক্ষককে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়নি, সুতরাং তার বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার এখতিয়ার রয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে দিলীপ কুমার ধরকে বিদ্যালয়ে স্বপদে পুনর্বহাল এবং পূর্ণ সরকারি বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
দিলীপ কুমার ধর গতকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবলা কান্তি দেবকে নিজ কক্ষের চাবি দিতে বলেন। কিন্তু বাবলা কান্তি দেব তাকে চাবি না দিয়ে উল্টো গালাগাল করেন বলে অভিযোগ দিলীপ কুমার ধরের।
দিলীপ কুমার ধর বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালনা কমিটি অহেতুক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এখন তিনি বিদ্যালয়ে আসতে পারেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে এসেই তিনি যোগদানে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবলা কান্তি দেব বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার ধরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেন না।
এদিকে এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান তারা।