চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নে অবস্থিত লাকশিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপ ও প্রবেশপত্রের নাম করে ১০০০/১৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফী গত ১৯ জুন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। পত্র পাওয়ার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিম্ন্নস্বাক্ষরকারীর বরাবরে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এরই আলোকে ২০ জুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। তিনি লিখিত জবাবে উল্লেখ করেছেন, মোট পরীক্ষার্থীর ১০০ জন, অনুপস্থিত ১ জন, কৃতকার্য ৯৫ জন, অকৃতকার্য ৪ জন, আদায়কৃত ফি ৮৫ জন, ফেরত দিয়েছেন ৫০ জন শিক্ষার্থীকে।
কিন্তু জবাবের প্রেক্ষিতে সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, ৫০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দেননি। অভিভাবকরা আরো জানান, প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে স্বাক্ষর সঠিক নয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, লাকশিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগটি সত্য। শিক্ষার্থীদের অর্থ ফেরত দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, যারা আসছে তাদের টাকা ফেরত দিয়েছি। এ ছাড়া কি তাদের টাকা বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবো।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। এরই আলোকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।