নওগাঁর সাপাহারে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রহিমুদ্দীন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ (বুলু) নিজের খুশিমতো স্কুলের আর্থিক লেনদেন হিসাব-নিকাশ নিজের মনমতো পরিচালনা করে আসছেন। সভাপতিকে কিছু না জানিয়েই নিজের খেয়ালখুশিমতো কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে সভাপতি আ: রহিম প্রধান শিক্ষকের কাছে এসবের কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাব দিতে নারাজ বলে জানিয়ে দেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রহিমুদ্দীন সাংবাদিকদের আরও জানান, ওই ধুরন্ধর প্রকৃতির প্রধান শিক্ষক বুলু বেশ কিছুদিন আগে প্রায় ২০ মণ পুরনো বই বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০/৩২ হাজার টাকা। যার হিসাব দেননি ওই প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও স্কুল প্রাঙ্গণে লাগানো আম গাছের আম বিক্রি করে দেন। সরকারি স্ল্লিপের টাকা নিজ মনমতো খরচ করেন যা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে জানান না তিনি।
নিজের মনমতোই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ বুলুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু সরকারি নিয়ম মোতাবেক পরিচালনা করি। রহিমকে সভাপতি থেকে বাদ দেওয়ার কথা বললে তিনি আমার নামে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।’ পুরনো বই বিক্রির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাগজ বিক্রি করেছি মাত্র ২৭ কেজি।’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন- ‘সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং নিজেই স্কুল ভিজিটে যাবো।’