দৈনিক শিক্ষাডটকম,দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ভাতগাঁও শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে গোপনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক দলিল উদ্দিন এক চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেও তাকে চাকরি দেয়নি। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। আর গোপনে নিয়োগ দেয়া চতুর্থ শ্রণির কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও রীতিমতো উত্তোলন করছে সকল বিল।
ভাতগাঁও শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ভাতগাঁও শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি সেশন চার্জ, এসএসসির রেজিষ্ট্রেশন ফি, উপবৃত্তির টাকা, টিউশন ফি, জেএসসি ও এসএসসির প্রশংসা পত্র-মূল সনদ আদায় ফি, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, প্রতিষ্ঠানের মাঠ ভাড়া, প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ও রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ প্রধান শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে আত্মসাৎ করে আসছেন। এরই মধ্যে গোপনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া ও এমএলএসএস এই তিনটি পদে গোপনে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক দলিল উদ্দিন। এছাড়া গোপনে নিয়োগ পাওয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হাবিবুর রহমান, এমএলএসএস মো. মিলন হোসেন ও আয়া শাহানাজ পারভিন বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও রীতিমতো বিল উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দলিল উদ্দিন বলেন, নিয়মনীতি মেনেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তারা প্রতিষ্ঠানে হাজির থাকেন। সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।