দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সম্পত্তি আত্মসাৎ করে অন্যান্য সহকর্মীদের তটস্থ করে রাখারও অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, দাতা সদস্য পদ প্রত্যাশী, প্রাক্তন ছাত্র-পরিষদ সাতুরিয়া এমএম হাইস্কুল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ হিমেল বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে শের-ই বাংলা একে ফজলুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হিসেবে বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তারের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সব নষ্ট হতে চলছে।
প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ে কর্মরতদের মাসিক বেতন-ভাতা শিটে স্বাক্ষরও করেন ইউএনও।
গত ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেন প্রধান শিক্ষক। এর কিছু অংশ বিদ্যালয়ে জমা দিয়ে বাকিটা দিয়ে নিজের বাসার নিয়ে ফার্নিচার তৈরি করেন। এ ছাড়া অদৃশ্য ক্ষমতাবলে বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক পাখা ও আসবাবপত্র নিজ বাসায় নিয়ে ব্যবহার করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে অসৎ সুবিধা নিয়ে বিধি বহির্ভুত ছুটি দেন। এতে ভেঙে পড়ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তার বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা থাকায় নতুন কমিটি করা সম্ভব না। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের জন্য গাছ কাটলে তাতে একটি পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। সব অভিযোগই মিথ্যা।
এ বিষয়ে এমপি শাহজাহান ওমর, ইউএনও ফারহানা ইয়াসমিন, শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম সবাই অবগত আছেন। একসময় বিদ্যালয়ে আসেন, তখন সব কাগজপত্র আপনাকে দেখাবো, যোগ করেন তিনি।