ডুমুরিয়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত ৩৩ শতক জমি আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ আরোশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। জানা যায়, দক্ষিণ আরোশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে তিনটি দলিলে মোট ৫৭ শতক জমি রয়েছে। সেরাজউদ্দিনের অংশ হতে ১০ শতক ও মোবারক আলী বিশ্বাসের অংশ হতে ১৪ শতক ও ২০০২ দাগের ৯ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে নামজারি করা হয়।
এ ছাড়া ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে আরোশনগর মৌজার ৩৩ শতক জমি মো. মোবারক আলী বিশ্বাস ৩ লাখ টাকা পণে প্রাইমারি স্কুলটির নামে দলিল করে দেন। বিদ্যালয়টির নামে মোট ৫৭ শতক জমি কাগজপত্রে রয়েছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের একটি দাখিলাতে দেখা যায়, ৪৭নং হোল্ডিংয়ের ১৪০/১নং খতিয়ানে ৫৭ শতক জমির কর পরিশোধ করে স্কুলটির কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিএম মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে স্কুলটির নামে ২৪ শতক জমির নামজারি করা হয়েছে। বাকি ৩৩ শতক জমির কথা বললে তিনি বলেন, আমার কাছে ৩৩ শতক জমির কোনো দলিল নেই। ইতিমধ্যে স্কুলটির ২৪ শতক জমি নিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষকের চাকরি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই কারণে ওই ৩৩ শতক জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন তিনি।
এমনকি ওই জমি বিক্রির জন্য দরদাম চলছে বলেও এলাকাবাসী জানান।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিনা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত মাসের ২৭ তারিখে টিও (প্রাইমারি) স্যারের উপস্থিতিতে মিটিং হয়। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ দিনের সময় দিয়ে বিদ্যালয়ের জমির সকল কাগজপত্র উপজেলা প্রাইমারি শিক্ষা অফিসে দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত কাগজগুলো তিনি দাখিল করেননি। বিষয়টি টিও স্যারকে জানানোর পরেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাইমারি) মো. হাবিবুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি যতটুকু জানি স্কুলের জমিটি যে দাগে রয়েছে সেখানে ২৪ শতক জমি আছে আর অন্য একটা দাগ থেকে ৯ শতক নিয়ে মোট ৩৩ শতক জমি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩৩ শতকের আলাদা কোনো দলিল আছে কিনা তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (খুলনা) শেখ অহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, এখন জানলাম। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।