নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার প্রধান শিক্ষিকা সবিতা রানী বালাকে (৫৫) শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষিকার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। সবিতা বালা রানীকে হত্যার ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর শোনার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষকরা তার বাড়িতে ভিড় করছেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
রোববার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামে নিজ বাসায় শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়। তিনি ৮৫নং চরদৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের পরিতোষ কুমার মণ্ডলের স্ত্রী। তাদের কোনো সন্তান ছিল না।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত সবিতা বালা ও তার স্বামী পরিতোষ মন্ডল ঘরে একসঙ্গে ছিলেন। এরপর তারা দুজনে আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। রাত ৩টার দিকে স্বামী পরিতোষ মণ্ডল পূজা করার জন্য ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলতে যান। তখন বাইরে থেকে বন্ধ পাওয়ায় তার মনে সন্দেহ হয়। তখন স্ত্রীর রুমে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিতোষ মণ্ডলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবিতা বালার গলায় একটি গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য তার মুখের ভেতের গামছা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
দুর্বৃত্তরা সবিতা বালার কাছে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি হাতের বালা, একটি হাতের আংটি, এক জোড়া কানের দুল, একটি ল্যাপটপসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা ধারণা করছে, চুরি করতে আসায় ব্যক্তিদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হতে পারে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ সবিতা বালার মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকানো দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।