দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরিশাল : দীর্ঘ ৫ বছর পর ধান নদী আর খালের শহর বরিশালে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমন উপলক্ষে গোটা নগরজুড়ে চলছে সাজ সাজ বর। দীর্ঘদিন পর দলের সভাপতিকে কাছে পেতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বরিশাল মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার চালাচ্ছেন।
সভাস্থলকে জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এরইমধ্যে নগরীর বান্দরোডের বঙ্গবন্ধু উদ্যানকে সাজানো গোছানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। চলছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাইকিং। নগরীর প্রতিটি পয়েন্টকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। করা হয়েছে রাস্তা মেরামত, লাগানো হয়েছে রাস্তার মধ্যখানে বিভিন্ন ধরনের লাইট। জোরদার করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। নগরী ছেয়ে গেছে নেতাকর্মীদের তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর কমিটির মুখপাত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার জনসভায় কমপক্ষে ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের মধ্যে সৃষ্ট বিভেদ কিছুটা দূর হয়েছে। এ সভার মধ্য দিয়ে একই মঞ্চে পাশাপাশি বসেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা গেলো দুজনকে। সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা এ দুজন বিসিসির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নৌকা পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন খোকন সেরনিয়াবাত।
বিভাগীয় বর্ধিত সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফলে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে প্রধান সমন্বয়ক করা হয়। এছাড়া সমন্বয়ক করা হয় মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। যোগাযোগ ও আপ্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং লস্কর নুরুল হককে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম, নগর সভাপতি একেএমএ জাহাঙ্গীর এবং নগর সহসভাপতি আফজালুল করিমকে শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।