থাকতেন ভাড়া বাসায়। অন্যের সহযোগীতায় চলতো তৃতীয় লিঙ্গের মায়ার জীবন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে স্বপ্নের ঘর পেলেন তিনি।
বুধবার চতুর্থ ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় পাকাঘরসহ জমির দলিল পেলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তৃতীয় লিঙ্গের এ নাগরিক।
সকালে উপজেলায় নতুন করে ৫০টি ঘর ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। জেলা সদরেও দেয়া হয় জমিসহ ১৮৫টি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
এদিকে ঘর পেয়ে খুশিতে আনন্দে আত্মহারা মায়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এসময় আনন্দাশ্রু ঝড়ে তার দু’চোখে।
মায়া দৈনিক শিক্ষডটকমকে বলেন, এতোদিন ভাড়া বাসায় থাকতাম। কোনো কোনো সময় ঠাঁই হয়েছে অন্যের বাড়িতে। এখন নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে। এরচেয়ে আর আনন্দের মুহূর্ত আমার জীবনে আর আসেনি। প্রধানমন্ত্রীকে আমি প্রাণ ভরে দোয়া করছি।
উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জমির দলিল হস্তান্তর করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো.আহসান হাবিব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন শিবলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির, সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.বদিউজ্জামান সিকদার ও ওসি মো.শহীদুল ইসলাম।
একই সময় জেলা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ এ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। আর এর মাধ্যমে পুরো জেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘরের এ দলিল তুলে দেন উপকারভোগীদের হাতে। এ সময় বঙ্গভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণের অনুষ্ঠানমালাও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৯১৬টি পরিবারকে প্রধান উপহারের জমিসহ এ ঘর দেয়া হয়েছিলো।