প্রবাস ফেরত ইব্রাহিম হ*ত্যার ১৯ বছর পর ৪ আসামির যাবজ্জীবন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জমি কিনতে এসে জামালপুরের প্রবাস ফেরত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হত্যা মামলায় চারজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

হত্যার প্রায় ১৯ বছর পর গতকাল রোববার (১৪ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ  আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন, মুক্তাগাছার দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ি গ্রামের কাছিম উদ্দিনের ছেলে আক্কেল আলী (৫০), হুইল শেখের ছেলে হোসেন আলী (৫২) ও মজিবুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫) ও বৈঠামারি গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে মনির উদ্দিন (৫২)। এদের মধ্যে মরিয়ম পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের মো. ওয়াজেদ আলীর ছেলে ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়। প্রায় ৯ বছর মালয়েশিয়ায় চাকরি করে ওই বছরের ১২ আগস্ট দেশে ফিরে ব্যবসা শুরুর চেষ্টা করছিলেন ইব্রাহিম। ব্যবসা করার জন্য আখক্ষেত কেনার পরামর্শ দেন মুক্তাগাছার দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ি গ্রামের মজিবুর রহমান মজি। তার পরামর্শে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যান ইব্রাহিম।

টাকার লোভে অভিযুক্তারা ইব্রাহিমকে আটকে নির্যাতন চালান। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ইব্রাহিমের সঙ্গে থাকা দুই ভাইকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে নিহত ইব্রাহিম ও অন্যান্যদের উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। ওই দিন নিহতের ভাই আবদুল মোতালেব মুক্তাগাছা থানায় ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মাঝে অভিযুক্ত দুইজনের মৃত্যু হয়। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে রোববার রায়ের দিন ধার্য ধরা হয়। বেঁচে থাকা ১৫ অভিযুক্তের মধ্যে ১১ জনের উপস্থিতিতে আদালত রায় দেয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা - dainik shiksha শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027451515197754