দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্টমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাতীয় নেতা মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
এই উপলক্ষে আব্দুস সামাদ আজাদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া বাদ আছর কলাবাগানস্থ লেকভিউ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় ভুরাখালী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রথমে গ্রামের বিদ্যালয়ে ও পরে দিরাই উপজেলার জগদল ভাটিরগাঁও বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এরপর ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট মুরারী চাঁদ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও ইতিহাস শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও ইতিহাস বিষয়ে তিনি এমএ পাস করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাখার কারণে সরকার তার এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। তিনি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন।
১৯৫৫ থেকে ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেয়ায় পাক সাময়িক সরকার পুনরায় তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে সামাদ আজাদ বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।