প্রবীণরা সমাজ ও রাষ্ট্রের পথ প্রদর্শক। তারা সাধারণত পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন নানা দপ্তর বা ক্ষেত্রে উপদেষ্টা হিসাবে দেশের কাজ করে থাকেন। এ দিক থেকে বিবেচনা করলে তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কারিগর।
প্রবীণরা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তাঁদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবনকে কাজে লাগানোর জন্য সুরক্ষা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার বয়স্কদের জীবন যাপনকে গতিশীল করার কতিপয় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বয়স্কভাতা। প্রবীণরা শারীরিক অক্ষমতা, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তিসহ নানা চ্যালেঞ্জের করালগ্রাসে আবদ্ধ। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা বা কোন কিছু করা তাদের পক্ষে দুরূহ, প্রবীণরা সমাজ, জাতি তথা রাষ্ট্রের মূল্যবান সম্পদ। এ সম্পদকে সুরক্ষার জন্য কতিপয় সুপারিশ উপস্থাপন করছি:
১. বয়স্ক ভাতার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা ২. কর্মচারীদের বেতনের সাথে সমন্বয় করে পেনশনভোগীদের ভাতা নির্ধারণ করা ৩. পেনশনভোগীদের চিকিৎসা ভাতা দশ হাজার টাকা নির্ধারণ ৪. প্রতিবছর ১ মাসের সমপরিমান অর্থ শ্রান্তি বিনোদন প্রদান ৪. বিমান, রেল, লঞ্চ, স্টিমার, বাসসহ সকল যানবাহনে প্রবীণদের জন্য নির্ধারিত আসন সংরক্ষিত রাখা এবং ৫০% ভাড়ার হার নির্ধারণ করা। ৫. সব হাসপাতালে চিকিৎসার টিকেট, সিরিয়াল ডাক্তার দেখানোসহ সব ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা রাখা। ৬. প্রবীণদের জন্য সব সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থাপন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধের সুযোগ রাখা। ৭. ১০০% পেনশন সমর্পনকারীদের পুনঃপেনশন স্থাপন বয়সসীমা ৮ বছর করা।
আমাদের সমাজে শিশু ও প্রবীণরা বড়ই অসহায়। প্রবীণদের তুলনায় শিশুদের দেখভাল বা যত্বের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি। আমাদের সামর্থবানরা প্রবীনদের যত্ন নিয়ে খুব বেশি চিন্তা বা সময় ব্যয় করেন না। সমাজ ও দেশের স্বার্থে প্রবীণদের সার্বিক সুরক্ষা আজকে অতীব প্রয়োজন।
রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নজর দেবেন। প্রত্যাশায়।
লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ ও সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম।