পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ আর্থিক দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ভোলা সদর উপজেলার শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শহীদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বাবদ ৫০০ টাকা, তিন মাসের অতিরিক্ত বেতন ও একই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুইবার করে সেশন ফি ও বকেয়া বেতনের কথা বলে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে।
এমনকি এক বিষয়ের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও প্রবেশপত্র বাবদ ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া এসএসসির ফরম পূরণের সময় বকেয়াসহ সব টাকা আদায়ের পরও প্রবেশপত্র আটকে রেখে দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি প্রবেশপত্রের জন্য ৫০০ টাকা করে নিয়ে ওই টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেন।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘প্রবেশপত্রের জন্য ও বেতনের কিছু টাকা নেওয়ার নির্দেশ ছিল বোর্ডের।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নূর-ই-আলম ছিদ্দিকী বলেন, ‘প্রবেশপত্রের জন্য ও পরীক্ষার ফরম পূরণে কোনো টাকা আদায় করা যাবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষা বোডের্র নির্দেশনা উপেক্ষা করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে বোর্ডের।’