প্রবেশপত্র বিতরণের অনিয়ম নিয়ে দৈনিক শিক্ষায় সংবাদ প্রকাশের পর কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল আ্যন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এবারের এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সচিব ও চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে। তার এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এ বছর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা। এইচএসসি (বিএম) শাখার শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়নি।
গত ১ ডিসেম্বর দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘এইচএসসির প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।
পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনার বিষয়ে জরুরি সভায় ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আইবুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীরকে বুধবার রাতে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা মিলে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বলেন, ‘অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীর বরখাস্ত হওয়ায় এক সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও এবারের এইচএসসি কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর ২৫ শিক্ষার্থীর এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার ফরম পূরণ সত্ত্বেও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় অধ্যক্ষের কক্ষে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগপত্র দেন তারা।