ফেনী সরকারি কলেজে মাস্টার্স ফাইনালের ব্যবহারিক পরীক্ষার উত্তরপত্র বাসায় লিখে জমা দিয়েছেন সাথী বৈদ্য নামে এক শিক্ষার্থী। তার স্বামী দিদোয়ানুল কবির ছোটন একই কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। বিষয়টি জানাজানি হলে অপরাপর শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফেনী কলেজে মাস্টার্স ফাইনালের ব্যবহারিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ছিল। এখানে ৫৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪ জন অংশ নেয়। এ পরীক্ষায় বহিঃপরীক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনিসুল ইসলাম, আন্তঃপরীক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আফতাব উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দিন।
সূত্র আরো জানায়, আগের দিন রাতে গণিত বিভাগ থেকে স্ত্রীর জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র নিয়ে যান প্রভাষক দিদোয়ানুল কবির ছোটন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক কলেজ প্রশাসনকে জানানো হয়। গতকাল পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে ম্যাথ ল্যাবের লিখিত উত্তরপত্র (রেজি: ১৯৩৩৭০৭০২৯৬) জমা দেয় সাথী বৈদ্য। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা। একপর্যায়ে ঘটনাটি কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে জানানো হয়। আমিরুল মোস্তফার অনুপস্থিতিতে ভাইভা বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তক্রমে সাথী বৈদ্যের উত্তরপত্রে ১৫০ নম্বরের মধ্যে অর্ধেক নম্বর দেয়া হয়।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনিসুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেছি। এটা নিয়মবহির্ভূত। অন্য শিক্ষকরা ঘটনাটি কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার বদিউজ্জামান জানান, এ বিষয়ে তাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বক্তব্য জানতে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইনকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারেননি।
উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: দেলওয়ার হোসেন জানান, পরীক্ষার দায়িত্বরতরা এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।