শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, এই স্লোগানকে সামনে রেখে নিজের সময় ও অর্থ বাঁচাতে এবং নিজেকে বর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে আধুনিকতর করতে অবশ্যই একজন আদর্শ শিক্ষককে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সময় যতই এগোচ্ছে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত, নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ঘটিয়ে চলেছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রভাব ও অনুভুত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে একজন শিক্ষক সময়ের সঙ্গে নিজেকে আধুনিকতর করে নিতে পারে। প্রযুক্তির ব্যবহার জানা না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে হয়। তাই অবশ্যই আধুনিক হওয়ার জন্য এবং সময়ের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে শিক্ষাব্যবস্থায়। ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা এখন দূর-দূরান্তে থাকা বিভিন্ন শিক্ষকদের ক্লাস করতে পারে। ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওগুলো দেখে নিজেকে আধুনিকতর ও সমৃদ্ধ করতে পারে। যার সুফল আমরা পেয়েছি। করোনা অতিমারির সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা টিভি চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডাউনলোড করে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত লেখকদের বই পড়তে পারছেন। এতে সময়ের সঙ্গে খরচও কমে এসেছে। যার বাস্তব প্রমাণ মেলে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ মার্চের পর যখন সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। আইসিটিতে দক্ষ শিক্ষকরা তাদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে শিখন ঘাটতি দূর করতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাঠদান করতে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করেন। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (NSA) এক বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার, প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই আধুনিকতর প্রযুক্তির জ্ঞান, দক্ষতা একজন শিক্ষককে অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি একসময় গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবে। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা একটি উন্নত পৃথিবী পাবো, আর সেই জন্যই আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটি বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
লেখক : মাসুদ রানা, সহকারী শিক্ষক, চরভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবনা সদর, পাবনা।