কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও সনদ দেয়ার সময় ২০০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকে বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এ অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় নাজমুল হাসান শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, কয়েকজন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করে বলে, এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা চান। টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেদিন তারা প্রশংসাপত্র না নিয়ে চলে যায়। তবে টাকা দিয়ে অনেকে প্রশংসাপত্র নিয়েছে।
পরদিন তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ টাকা নেয়া হচ্ছে।’
সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। এখানে ইউএনও মহোদয় আছেন, উনি এটা তদন্ত করবেন। তদন্ত করার পর তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে দেবে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
কুলিয়ারচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে এসব বলিনি। উনি মিথ্যা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ৪ এপ্রিল আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসে। পরে আমি শিক্ষার্থীদের বলি, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ এ কথা আমি বলি নাই। বেসরকারিভাবে প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে।’