নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদারকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি। ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকীর আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এখন পর্যন্ত তদন্তের বাইরে রয়েছেন নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা। কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে। অত্যন্ত প্রভাবশালী মাউশির এ পরিচালকের (কলেজ ও প্রশাসন) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে নেমে একপর্যায়ে পিছু হটে খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এখনো তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে। নিয়োগ-বাণিজ্যসহ মাউশির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও নিয়োগ পরীক্ষার কমিটিতে শাহেদুল খবিরের থাকার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে মাউশির অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬) পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৩টি পদের জন্য প্রথম ধাপের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় (এমসিকিউ) অংশ নেন ১ লাখ ৮৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা চলাকালে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নের ৭০টি উত্তর প্রবেশপত্রে লেখা থাকায় সুমন জমাদ্দার (৩০) নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের প্রধান সহকারী আবদুল খালেক। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।