বিসিএসসহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহম্মেদ শামীম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিয়ামকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় সিয়ামকে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম ছাড়াও রয়েছেন, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।
এ ছাড়াও রয়েছেন- সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। তিনি বিদেশে পড়ালেখা করেছেন, এরপর দেশে এসে ভর্তি হন একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিয়াম ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জীবন মানুষকে সাহায্য করেন সেই ভিডিও প্রচার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সিয়াম চলাফেরা করেন দামি গাড়িতে।