প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর দায়ে মেহেদী হাসান ফরহাদ (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ। এই নিয়ে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত ১৩ জন গ্রেফতার হলো।
ইমরান বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রলোভনে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করেছিল।
সিআইডির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোমেনা আক্তার জানান, সম্প্রতি ইমরান হাসান নামে একটি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই এ্যাকাউন্টে এসএসসি পরীক্ষার বোর্ডের মূল প্রশ্নপত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, ওই এ্যাকাউন্টে এসএসসি পরীক্ষার ফল পরিবর্তন করারও ঘোষণা প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, কোন শিক্ষার্র্থীর পছন্দ মোতাবেক ওই শিক্ষার্থী চাইলে তার এসএসসি পরীক্ষার পর এ প্লাস বা গোল্ডেন এ প্লাস করে দেয়া হবে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল জানান, সরকারের সর্বোচ্চ পযায় থেকে শুধু বিশেষ কোন মুর্হতে বা দিনে নয়, সারাবছর ধরে গুজব মনিটরিংয়ে কাজ করার নির্দেশনা জারি হয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক সারাবছর ধরেই সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট কাজ করছে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার নির্দেশনা এসেছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগ থেকেই সারাদেশে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। তাদের হাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ প্রতারক গ্রেফতার হয়েছে।
সিআইডির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার আবু সায়েম জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই জামিনে বের হয়ে আবারও একই কর্মকা- চালানোর চেষ্টা করছে। তারা নতুন করে বেনামে ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আশা করছি, এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা মোতাবেক কম্বিং অপারেশন চালানো হচ্ছে। এজন্য ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়মিত ফিল্টারিং করা হচ্ছে।