প্রাথমিকের একজন সহকারী শিক্ষক চাকরির শেষে এসেও পদোন্নতির মুখ দেখেন না। সরকারের অন্যান্য চাকরিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া হলেও প্রাথমিকের শিক্ষকের কপালে তা জোটে না। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষকের অভাব নেই। ভালো পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সহকারী শিক্ষকরা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। রোববার (১৩ জুন) ইতে্তফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায় বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ হলে অনেক মেধাবী শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো এগিয়ে নিতে পারেন। বর্তমানে গ্রেডেশনের মাধ্যমে যে পদোন্নতির কথা বলা হচ্ছে তাতে একজনের কপাল খোলে, অন্যজনের কপাল ভাঙে।
কেননা একজন শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে এলে আগত উপজেলার যোগদানের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা ধরা হয়। ফলে অন্য উপজেলায় দীর্ঘদিন চাকরি করার পরআগত উপজেলায় জুনিয়র হবেন। অন্যদিকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ যেহেতু উপজেলাভিত্তিক, সেহেতু অন্য উপজেলা থেকে আগত শিক্ষক জুনিয়র হওয়া যুক্তিসঙ্গত। কেননা এতে নিজ উপজেলার শিক্ষকের অধিকার খর্ব হয়। এ যেন দুদিকেই বিপদ।
এমন সমালোচনামূলক গ্রেডেশনের পরিবর্তে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া অতীব জরুরি। এর ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসবেন। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা বহাল রেখে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন হবে। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: মুন্নাফ হোসেন,সহকারী শিক্ষক, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল