যিনি শিক্ষা দান করেন, তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধার প্রিয় শিক্ষক। সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী, যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্প্রদান বলে। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয়, ব্যক্তিই মূখ্য। বাংলা সিনেমায় একটা সংলাপ শুনেছিলাম, মাস্টার সারাজীবন পরের ছেলে মেয়ে মানুষ করে গেলে, নিজের জন্য কিছুই করলে না। কথাটা সত্যি যে শিক্ষকরা নিজের জন্য কিছুই করেন না, নিজের জন্য কিছু করার সময় তাদের নেই। পরের জন্য কিছু করার আকুল বাসনা তাদের হৃদয়ে সবসময় গেঁথে থাকে। তাইতো নিজের প্রাইমারি ও হাইস্কুলের কথা মনে পড়লে স্মৃতি হাতড়ে বেড়াতে হয়। কেউ কেউ আবার হৃদয়ের সঙ্গে মিশে আছে। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে চোখের কোনায় জল চলে আসে।
আশি বা নব্বই দশকে গ্রামে পাঠশালার অহরহ দেখা মিলতো। এখানে হাতে খড়ি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্ন্ত পড়ানো হতো। যে ৫ম শ্রেণিতে পড়তো, সে পড়তো এখানে কিন্তু পরীক্ষা দিতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অন্যসব শ্রেণিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদলে পরীক্ষা নেয়া হতো।
কালের আবর্তে পাঠশালা আমাদের সমাজ থেকে হরিয়ে গেছে। আবির্ভাব হলো কিন্ডারগার্টেন, কিছু কিছু জায়গায় এনজিও পরিচালিত স্কুলের দেখা মিললো। সরকারের সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার মিশনে এনজিও পরিচালিত স্কুল প্রায় বন্ধ, কিছু কিছু জায়গায় এখনোও চলমান আছে। কিন্ডারগার্টেন কিন্তু এখনো স্বমহিমায়, আরো বৃহৎ পরিসরে বিদ্যমান। বলতে বাধা নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য একটা বড় সংখ্যক শিশু এখানে পড়াশুনা করছেন, তাদের দাবি সরকারি স্কুলের চেয়ে তাদের শিখন পদ্ধতি ভালো। তবে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে হয়, কিন্ডারগার্টেন শুধু শিখন কেন্দ্র নয় একটা বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বৈকি। একটা প্রচলিত কথা আছে, খাতা কলম আমাদের, লেখাপড়া বাড়িতে। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কথার বাইরে আসতে পারা না পারা বিবেচনা করার দায়িত্ব সবার।
ব্যানবেইস প্রতিবেদন অনুসারে দেশে বর্তমানে প্রি থেকে গ্রেড ৫ পর্যন্ত মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮ শত ৯১ টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫শত ৬৬ টি, কিন্ডারগার্টেন আছে ২৮ হাজার ১ শত ৯৩ টি যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক। শিক্ষক প্রতি শিশু আছে প্রি থেকে গ্রেড ৫ পর্যন্ত ৩১ জন, সরকারি‘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রতি শিশু আছে ৩৮ জন। কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষক প্রতি শিশু আছে ১৭ জন । মোট শিশু আছে ২ কোটি ১ লাখ ৯শত ৭২ জন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬শত ১৭ জন, কিন্ডারগার্টেনে আছে ৩৩ লাখ ২৪ হাজার ১শত ৭৭ জন। মোট শিশুর ৬৭ শতাংশ পড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাত্র ১৬ শতাংশ পড়ে কিন্ডারগার্টেনে।
এই তথ্যটি এখানে উপস্থাপনের উদ্দেশ্য কাউকে খাটো করে দেখার নয় বরং এর থেকে বের হয়ে আসার অর্থ্যাৎ কীভাবে শিখন পদ্ধতি উন্নত করা যায়, শিশুদেরকে পঠন, বলন ও লেখনে সমৃদ্ধ করা যায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রতি শিশু ৩৮ জন , সবাই নিশ্চয়ই একমত হবেন, পাঠ কক্ষ ব্যবস্থাপনার অন্যতম দিক হচ্ছে সব শিশুকে শ্রেণি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা। সময় যদি হয় ৪৫ মিনিট হয় তাহলে কিভাবে একজন শিক্ষকের পক্ষে শ্রেণি পরিচালনা সম্ভব! আমার জানা নেই। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় ৬৭ শতাংশ শিশু অন্তর্ভুক্ত, তাই আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে। শিশুর বিকাশ ও শিশুর ভবিষ্যতকে আলোকিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে পারেনা। ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা তার চাইতেও বেশি।
গবেষণা সংস্থা ‘রুম টু রি-এর শিশু শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা নিয়ে এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিশু শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩২ শতাংশই বাংলা একটি শব্দও উচ্চারণ করে পড়তে পারেনা। আর দ্বিতীয় শ্রেণি উত্তীর্ণদের প্রায় ১৬ শতাংশই বাংলা একটি শব্দও উচ্চারণ করে পড়তে সক্ষম নয়। মূলত গ্রামে ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা শহরের শিশুদের তুলনায় কম। আর তাই নিজ মাতৃভাষায় একজন শিশু শিক্ষার্থী শব্দ বানান করে পড়া ছাড়া, তার অর্থ বুঝে পড়তে সক্ষম নয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার হার ভয়াবহ। শিক্ষা গবেষণা সংস্থা রুম টু রিড দেশের ১২ ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৯৪ জন শিক্ষার্থী ও এই সংস্থার বাংলা ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরো ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে এ ফলাফল বের করেছে।
কিন্তু এর বিপরীতে যখন দেখি সরকারি জরিপে উঠে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে ভয়াবহ চিত্র, তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না। জরিপ বলছে, তৃতীয় শ্রেণির ৫১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলায় দুর্বল। তাদের মান তৃতীয় শ্রেণির উপযোগী নয়। এর পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৬১ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে দুর্বল। তাদের গণিতের দক্ষতা তৃতীয় শ্রেণির উপযোগী নয়।
ইউএসএইড বাংলাদেশে ৩৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের এক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ হাজার বিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষকের মাতৃভাষার মাধ্যমে কার্যকর শিখন-শেখানো পদ্ধতির সক্ষমতা অর্জনে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যার মাধ্যমে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা পড়া ও শেখার দক্ষতা অর্জন করবেন।
প্রাথমিকের মতো মাধ্যমিকেও কাঙ্ক্ষিত শিখন হচ্ছে না। এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, অষ্টম শ্রেণির অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে নির্ধারিত দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন না।
মাধ্যমিক শিক্ষায় দুটি বড় সমস্যার একটি হলো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট। শিক্ষকের সংকট যেমন আছে, তেমনি মানসম্পন্ন শিক্ষকের ঘাটতিও বেশি।
জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে গণনমুনার ভিত্তিতে এক জরিপ পরিচালনা করা হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৬০১ জন শিক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। শিক্ষকের কাছে নির্ভয়ে প্রশ্ন করতে পারা, লাইব্রেরি সুবিধা, খেলার মাঠ, ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত সুবিধা থাকা, বই, ডায়েরি, নোটিস ইত্যাদি বিষয়কে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা হিসেবে ধরা হয়েছে। বরিশাল, ঝালকাঠি ও ভোলা- এ তিন জেলায় জরিপ পরিচালনা করা হয়। একজন অধ্যাপক বলেন, তিন জেলায় জরিপে পাওয়া তথ্য সারাদেশের জন্যই প্রযোজ্য। তিনি বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে সেবা না পাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশই কোচিং সেন্টার অথবা প্রাইভেট পড়ে শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করছে। সেখানেও মানহীন শিক্ষার শিকার হন তারা।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ঘাটতি আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যমান। প্রধান প্রধান বিষয় গুলোতে এ সমস্যার কারনে নবম শ্রেণিতে বিভাগ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হয়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণা প্রতিবেদনও বলছে, মাধ্যমিকের প্রায় ৪৩ শতাংশ শিক্ষক নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। বাকিরা প্রশ্নপত্র কিনে বা অন্যের সহায়তায় পরীক্ষা নেন। প্রতিবেদন বলছে, ৩৭ শতাংশ শিক্ষক গাইড বই ব্যবহার করছেন। মাধ্যমিকে সামগ্রিকভাবে ২২ শতাংশ শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা করার কথা জানিয়েছেন। এসব তথ্য বলছে, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ঠিকমতো হচ্ছে না। সেই একই শিক্ষক বর্তমানে বিদ্যমান।
সম্প্রতি বিশেষ এক কাজে মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। আমি আর দেরি না করে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বর্তমান কারিকুলাম নিয়ে কথা বলতে তিনি বললেন, পরিবর্তনের প্রয়োজনে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা হবে এটা অবাক হওয়ার কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এই ভেবে অবাক হতে হয় যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বড় অংশই আছেন যারা সাধারণ ডিগ্রি পাস। তবুও তারা চেষ্টা করছেন নিজেকে পরিবর্তনের সঙ্গে যোগ্য করে তুলতে। ইংরেজি স্যারের সাথে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম উনি এখন ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নেবেন। উনার সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি চাইলে রাজি হলেন। আমি শিক্ষার্থীদের বললাম, আমি ভাত খাই ইংরেজিতে কি হবে? ১৩ জনের মধ্যে সবাই বলতে পারলেন। কিন্তু আমি যখন বললাম, সে ভাত খায় কি হবে? ব্যস, চোখাচোখি, তাকা-তাকি, মুখ ঢাকা-ঢাকি শুরু হয়ে গেলো। এর মধ্যে স্যার আবার অন্য শ্রেণি থেকে একজনকে ডেকে আনলেন যদি পারে । কিন্তু দুঃখের বিষয় সেও পারলেন না। ১০ম শ্রেণির কেউ উত্তর দিতে পারলেন না, কি বলছে সেটা আর নাই বা বললাম। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কেনো পারেন না? তার বললো আমাদের এগুলো চর্চা করানো হয়না। স্যার বললেন, প্রাইমারি থেকে যদি না শিখে আসে তাহলে আমরা কিভাবে আবার নতুন করে শুরু করবো। তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ার কথা বললে, তারা বলে আমরা পড়ি না কিন্তু অন্য এক কথায় স্যার বললেন, আমি পড়াই না তবে অন্য এক জন পড়ায়। একটু কৌতুহলের মতো স্যারকে বললাম, ১২ বছরে একজন শিক্ষার্থী কেনো ইংরেজি বলতে বা পড়তে পারবে না বা একটা ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবে না? স্যার বললেন, আমাদের পড়ানোর কথা আমরা পড়াই কিন্তু শিক্ষার্থীর শিখন দক্ষতা আমরা যাচাই করিনা, আরো বললেন ইংরেজি ক্লাসে যদি ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ ঘাটতি অনেকটা কমে যাবে।
উচ্চশিক্ষায় মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি যোগ্যতার ঘাটতি আর সিষ্টেম লসের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যায়। আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষাটা চরম ভাবে অবহেলিত কেনোনা না আছে এর মনিটরিং না আছে ভালো নির্দেশনা দেয়ার মতো জনবল। উপজেলায় দুজন মানুষ আছেন যারা এগুলো দেখভাল করেন । দুজনই অফিসের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন । তাহলে মাধ্যমিক শিক্ষাটা কে চালাবে কিভাবে চলবে?
এ প্রসঙ্গে একটা কথা না বললে ভুল হবে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে সেখানে এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের ছড়াছড়ি। ওনারা ছাড়া এ সমাজে আর কেউ শিক্ষানুরাগী, গুণিজন নেই। এক্ষেত্রে দুটি স্কুলের নাম না বললে বড় ভুল করা হবে। ব্যবস্থাপনা কমিটির অভাবে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আচায্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ আজ ধ্বংসের মুখে, বাঁচানোর কেউ নেই। অথচ একসময় এই স্কুলটি ছিলো জেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ। আবার ম্যানেজিং কমিটির জন্য স্বমহিমায় নিজের স্বাক্ষর রেখে চলেছে একই জেলার একই থানার পাশের স্কুল বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
একটা কথা না বললেই নয়, সবাই স্বীকার না করলেও সত্যি যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যর্থতার কারণে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের উৎপত্তি। যা আজ শিক্ষা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
লেখক: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বে-সরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় টেকনিক্যাল অফিসার হিসাবে কর্মরত
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।