প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে স্কুলে ডেকে নিয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দপ্তরির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দপ্তরি আনিচুর রহমান ফরাজীকে অভিযুক্ত করে মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্স্পতিবার বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দপ্তরী আনিচুর রহমান ফরাজীকে স্কুল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আনিচুর রহমান ফরাজী (৪০) সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামের মনোজ আলী ফরাজীর ছেলে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান।
ভিকটিম শিশু জানিয়েছেন, ‘এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণী কক্ষে দুইজনকে প্রাইভেট পড়াতো দপ্তরি আনিচুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে চরকাউয়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে একই পড়া দুই বার লিখতে দিয়ে অন্য শিশুকে ছুটি দিয়ে দেন। এরপর তাকে কোলে নিয়ে বসিয়ে খারাপ কাজ করেন দপ্তরি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভিকটিম শিশুটির বাবা নেই। তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। ঘটনার পরে শিশুটি বাসায় গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে ও দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে। তখন শিশুর মা তার কাছে এর কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এদিকে, ঘটনার পরে শিশুর মা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সমঝোতার প্রস্তাব দেন। আর এতে মধ্যস্ততা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নান্টু। তবে এলাকাবাসীর বাধায় সমঝোতায় ব্যর্থ হন তারা।
এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বলেন, দপ্তরি সারাক্ষণ স্কুলে থাকে। তবে স্কুলের কোনো শ্রেণি কক্ষে প্রাইভেট পড়ায় কিনা জানি না। ঘটনা শুনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি নিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশুর চাচা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে দপ্তরিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।