সাতক্ষীরায় প্রাইভেট পড়ানো ভাড়া করা ঘর থেকে সোহেল উদ্দীন নামে এক কলেজ প্রভাষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
শুক্রবার বেললা ৩টার দিকে কলেজ এলাকার রাবেয়া তাপসী মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোহেল উদ্দীন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। তিনি রাবেয়া তাপসী মঞ্জিলের ওই ঘর ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রভাষক সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ স্বামীর খোঁজখবর না পেয়ে স্ত্রী নিজেই তাঁকে খুঁজতে বের হন। তাঁরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেখান থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বের রাবেয়া তাপসী মঞ্জিলে প্রাইভেট পড়াতেন ওই শিক্ষক।
বাড়ির মালিক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুপুরে প্রভাষক সোহেল উদ্দীনের স্ত্রী তাঁকে খুঁজতে আসেন। তিনি এসে দেখেন তাঁদের ভাড়া নেওয়া রুমটি ভেতর থেকে তালা দেওয়া। এ সময় আমাকে ডেকে দরজা খুলতে সহায়তা চান। পরে আমি একজন মিস্ত্রি ডেকে দিই। মিস্ত্রি এসে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। এরপর ভেতরে ঢুকে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।’
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান বলেন, ‘প্রভাষক সোহেল উদ্দীনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’