প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট কেট ফোর্বস বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের সভাপতি কেট ফোর্বস এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রেড ক্রিসেন্ট প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রেড ক্রিসেন্ট যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার কারণে এত দুর্যোগের মধ্যেও বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছে না বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে শিখেছে এবং এর সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে শিখেছি।
রেড ক্রিসেন্ট প্রেসিডেন্ট কেট ফোর্বস ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্টের কাজের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্ট যে ভূমিকা রাখে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ দেন।
রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন নেতা খুব কম দেখা যায়।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ায় শেখ হাসিনার মানবিক মনোভাবের প্রশংসা করে রেড ক্রিসেন্ট প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং এ লক্ষ্যে তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বন্দি জীবন এবং ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর নির্বাসিত জীবনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের বেদনা ও দুর্দশা জানি এবং সেই কারণে আমরা তাদের (রোহিঙ্গাদের) মানবিক সহায়তা দিয়েছি।
সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উত্তম সুবিধাসহ উন্নত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষে যা সম্ভব আমরা তাদের তা দিচ্ছি।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
শিশু দু’টির বাবা আবু মোহাম্মদ আবু সাইফ বলেন, “এটি যুদ্ধ না, এটি ধ্বংস যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”
ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালে লড়াইয়ে কোনো বিরতি দেয়া হবে না।