সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে নতুন জনবল সংগ্রহ স্থগিত থাকলেও এ পদে নিয়োগের নামে প্রতারণা চলছে। ভুয়া চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে এ পদে নিয়োগ নিয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিয়োগের প্রলোভনে প্রার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে টাকা। অনেক সময় প্রাইমারি স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে।
বিষয়টি নজরে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এ প্রতারণা করা হচ্ছে। গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নীলফামারীসহ বেশ কয়েকটি জেলার এ ধরণের প্রতারণা চলছে। অনেক সময় প্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে, এরসঙ্গে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হতে পারেনি অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ প্রতারণা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ বা জনবল সংগ্রহের সুযোগ নেই। কিন্তু তারপরও কেউ কেউ এ নিয়োগ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে প্রতারণা চালাচ্ছে। তারা আমাদের একজন পরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষরজাল করে একটি ভুয়া আদেশ তৈরি করেছেন। যা দেখিয়ে নিয়োগের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। অনেক সময় ভুয়া নিয়োগপত্র ইস্যু করে প্রার্থীদের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, গাইবান্দা, জয়পুরহাট, নীলফামারীসহ কয়েকটি এলাকায় এভাবে প্রতারণা চলছে। তবে, এখনো আমরা এ ঘটনায় জড়িত কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে পারিনি। তবে, গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে দপ্তরি কাম প্রহনী পদে আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে জনবল সংগ্রহের সংশোধিত নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্ট রুলনীশি জারি করেছিলেন ও দপ্তরি কাম প্রহরী পদে জনবল সংগ্রহের নীতিমালার একটি অনুচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।