প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা বাতিল করে স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা সার্ভিস ক্যাডার সৃষ্টির মাধ্যমে মেধাবী, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন গঠনের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপিটি তার কার্যালয়ে জমা দেন তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।
স্মারকলিপিতে পরিষদ বলছে, শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিশুবান্ধব শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২৩ শিশু বান্ধব শিক্ষার অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ ব্যবস্থা ফলপ্রসু ও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অভিজ্ঞ ও মেধাবী জনবল। কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায় শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণকে (সিইনএড, ডিপইনএড, বিএড-এমএড) কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় মেধাবী জনবলে ভরপুর প্রাথমিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, উন্মুক্ত প্রাথমিকের ২০ শতাংশ প্রধান শিক্ষক পদে।
পরিষদ জানায়, নিয়োগ বিধিতে প্রায় সব পদে পদোন্নতি সুযোগ থাকলেও তৃণমূলের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউআরসির সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি সুযোগ রাখা হয়নি। সরাসরি নিয়োগে শিক্ষকদের জন্য ৮০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। তাতেও বয়সের ভার ও অভিজ্ঞতা বাধা থাকায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে প্রাথমিক শিক্ষকদের অধিকারহরণ করা হয়েছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
স্মারকলিপি জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা ইন্দু ভূষণ দেব, সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোয়ারা বেগম, সুবল চন্দ্র পাল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি সামসুদ্দিন বাবুল, সহ-সভাপতি আছমা খানম, সাধারণ সম্পাদক এম এ ছিদ্দিক মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আ. হালিম সরকার ও পদ্মা রাণী দত্তসহ অনেকে।