শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রাথমিক শিক্ষায় নানা অর্জন সত্বেও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অস্তিত্ব সংকটে। এ সংকট উত্তরণে ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অসহায়ত্বের কবল থেকে স্বস্তি দেয়ার লক্ষ্যে কতিপয় সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কাছে পেশ করেছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।
একইসঙ্গে এর অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সচিব অর্থসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কার্যার্থে দেয়া হয়েছে।
গত শনিবার ঢাকাস্থ খিলগাঁও হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপারিশে বলা হয়েছে-উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখা বিলুপ্তকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান দুপুর ২টার মধ্যে সমাপ্ত করা, দৈনিক ১ ঘণ্টা করে ৪টা পিরিয়ড পাঠদান করা, সহকারী শিক্ষকদের পদ এন্ট্রি ধরে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পদোন্নতি, প্রাথমিক শিক্ষা পৃথক ক্যাডার সার্ভিস প্রবর্তন, সিনিয়র প্রধান শিক্ষকদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান, সমযোগ্যতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের সমান প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান, একই পদে সিনিয়র-জুনিয়র পেনশনভোগীদের বৈষম্য নিরসন, পেনশনভোগীদের চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিকরণসহ শতভাগ পেনশন সমর্পনকারীদের ১৫ বছরের স্থলে ১০ বছর পেনশন পুনঃস্থাপনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।
সংগঠনের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক বিভাগীয় উপ-পরিচালক ঢাকা, ইন্দু ভূষণ দেব। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী আ. কা. ফজলুল হক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক গবেষণা পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মনিরুজ্জামান (উপদেষ্টা), আমানউল্লাহ (গাজীপুর), গোলাম মোস্তফা (ময়মনসিংহ), শফিকুল ইসলাম মানিক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মো. আলী (ঢাকা), ইসরাত জাহান বৃষ্টি (ঢাকা), সুবল চন্দ্র পাল (ঢাকা), এম এ হালিম সরকার (কুমিল্লা) প্রমুখ।