‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ২০ শতাংশ পদে পুরুষদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এরই কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা ও বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। নারী ও পোষ্য কোটা না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের কোটা পদ্ধতি থাকবে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।’
এদিকে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে। কিন্তু নিজেদের লোক দিয়ে তদন্ত কমিটি করিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন বাতিল করে ফের নতুন করে তদন্ত করার দাবি উঠেছে। সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাবেক মহাপরিচালক এবং জনসংযোগ বিভাগের লোকজন প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতিতে যুক্ত বলে সন্দেহ অনেকের।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।