প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ জন সদস্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন এবং ৫টি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ মো. শহিদুল ইসলাম পিপিএম-বার এর সার্বিক নির্দেশনায়, এডিসি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোলায়মান মিয়ার তদারকিতে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জ্যোতির্ময় গাইন (২৬), সুজন চন্দ্র রায় (২৫), মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০), লাভলী মন্ডল (৩০)।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসীম গাইন পরীক্ষার দুই/তিন মাস আগে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করত। চাকরির বয়স শেষ এমন পরীক্ষার্থীদেরকে বিশেষভাবে টার্গেট করতেন তিনি। পরীক্ষার্থীদের সাথে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করতেন। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্র এবং একটি মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। যেখানে সমাধানকৃত উত্তরপত্র প্রেরণ করা হত। পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্নপত্র পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যায়নরত তার ভাইয়ের ছেলে জ্যোতির্ময় গাইনের কাছে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই প্রশ্ন সরবরাহ করত। জগন্নাথ হলে থাকতেন জ্যোতির্ময় গাইন। তিনি এবং অপর দুই সহপাঠী সুজন চন্দ্র রায় এবং বেনুলাল দাসসহ তার ২২৪ নম্বর কক্ষে এই প্রশ্নের সামাধানকৃত পরীক্ষার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রেরণ করত। এদিকে পরীক্ষার্থীরা লুকিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যেত। পরীক্ষায় তাদের সরবারাহকৃত প্রশ্নপত্রে ৭৫ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭২টি সঠিক হয়েছিল।