প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে রিট আবেদন করেছেন কুষ্টিয়া জেলার ৫ পরীক্ষার্থী। ১৪ই জুন এ রিট আবেদন করা হয়।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অধিদপ্তরের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছেন। রুলে গত ৯ই জুন প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফল কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আবেদনকারীদের ফল কেন পুনর্মূল্যায়ন করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রুল জারির চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- মো. তরিকুল ইসলাম, মো. রাশিদুল ইসলাম, তানজিন জাহান, আলী রাজ ও মোছা. রুমা খাতুন। এর আগে ১২ই জুন রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিকের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। এ আবেদনের সুরাহা না হওয়ায় তারা আদালতের শরণাপন্ন হন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মহাপরিচালকের কাছে করা আবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ওই পরীক্ষার্থীরা ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। তাদের পরিচিত অনেকেই তুলনামূলক খারাপ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে ভুল থাকতে পারে এই শঙ্কায় তারা ফল পুনর্মূল্যায়ন চান। এদিকে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন ৪৬৬ পরীক্ষার্থী।
আবেদনকারীরা বলছেন, তাদের আশপাশের অনেকের চেয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়েও তারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। রেজাল্ট শিট দেখে মনে হচ্ছে- একই সিরিয়ালে একজনের পর আরেকজন উত্তীর্ণ হয়েছে, যা সন্দেহজনক। এ অবস্থায় ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানিয়েছেন তারা।