প্রাথমিকের ডিজিকে অপসারণে অষ্টম দিনের আন্দোলন

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি আব্দুস সামাদকে অপসারণের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না তারা। আজ বিকেলে ডিজির অপসারণে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। এর আগে ডিজিকে পদত্যাগে করতে ২৪ ঘণ্টার অল্টিমেটাম দেয়া হয়। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে মুখে অফিসে আসছেন না ডিজি।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে অধিদপ্তরের ভেতর অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মবিততি পালন করছেন। এর আগে একই দাবিতে সমাবেশ ও ডিজির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মকর্তা ও কমচারী।  

তারা জানান, বিগত সরকারের আমলে জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করেন বর্তমান মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ। যোগদানের পর থেকেই তার কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও আওয়ামীপ্রীতি প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। তার নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যবন্ধ হয়ে মহাপরিচালকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছেন।


 
ডিজির বিতর্কিত কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলেন, যোগদানের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে, তার কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি সর্বদা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা তার দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন। সরকার পতনের ১৫ দিন পর তিনি অফিস করা শুরু করেন। এরপর তার পছন্দের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে গোপনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 

এছাড়া স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল) ডিও লেটারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তিনি নিয়ম বহির্ভূত মাঠ পর্যায় হতে একজন কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পদায়ন করেন। বদলি-বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এই কর্মকর্তার একান্ত সহকারী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেকবার পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। 

গত সপ্তাহে চাপের মুখে উক্ত কর্মকর্তাকে ওই শাখা থেকে বদলি করে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করেন। এরপর আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে তার পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040721893310547