ঢাকা-১৭ আসন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম।বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে এ তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, আপিল শুনানিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। এর ফলে এই দুই প্রার্থী ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আগামী রোববার আদেশ জারি হবে। তবে অন্য দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম ভূঞা ও আসাদুজ্জামান জালাল প্রার্থিতা ফিরে পাননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
হিরো আলম ছাড়া আরও যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল—জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থি মো. মামুনূর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞা ( স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও আসাদুজ্জামান জালাল (স্বতন্ত্র)।
হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে ওই সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেছিলেন, যে কোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে ১ শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ১ শতাংশ ভোটার ও তাদের স্বাক্ষর নিতে পারেননি হিরো আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের হদিস পায়নি। এ জন্যই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী ৫ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি পাঁচ মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।