দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক: ১৯৮৬ খ্রীষ্টাব্দের দিকে জার্মানির পূর্ব বার্লিনে একটি বাসে ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীর সঙ্গে দেখা হয় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। এরপর শুরু তাদের প্রেম। তাদের সম্পর্কের কাহিনি উপজীব্য হয়েছে জার্মান ভাষায় লেখা ‘কায়ারোস’ উপন্যাসে। সেই উপন্যাসের জন্য ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান লেখিকা জেনি এরপেনবেক। এটি তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক উপন্যাস। জার্মান ভাষা থেকে উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে জেনির সঙ্গে বুকার জিতেছেন মিহাইল হফমান। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সারা বিশ্বের কথাসাহিত্যের কাজকে স্বীকৃতি দিতে ইংরেজিতে অনুবাদ হওয়া বই থেকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
জেনি এরপেনবেক জার্মানদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বুকার পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যদিকে পুরুষ অনুবাদক হিসেবে মিহাইল হফমান প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার পেলেন। তারা দুজনেই পুরস্কারের ৫০ হাজার ইউরো সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।
কায়রোস উপন্যাসটিতে পূর্ব জার্মানির পতনের সময়ে গড়ে ওঠা একটি প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। উপন্যাসটিতে উত্তাল রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যে ব্যক্তিগত ও জাতীয় পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের এ আয়োজনের বিচারকদের সভাপতি এলেনর ওয়াচটেল এরপেনবেকের উজ্জ্বল গদ্য, সম্পর্কের জটিলতা ও পূর্ব বার্লিনের পরিবেশের সাবলীল বর্ণনার প্রশংসা করেছেন। এর আগে গত এপ্রিলে চলতি বছরের আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য বইয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
কায়রোস এরপেনবেকের চতুর্থ উপন্যাস। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য এন্ড অব ডেজ’-এর জন্য তিনি ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফরেন ফিকশন পুরস্কার পেয়েছিলেন; যেটিকে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের অগ্রদূত বলা হয়। তার তৃতীয় উপন্যাস ‘গো, ওয়েন্ট, গন’ ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
মিহাইল হফমান ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দে তার বাবা গার্ট হফমানের উপন্যাস ‘দ্য ফিল্ম এক্সপ্লেনার’ অনুবাদের জন্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফরেন ফিকশন পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।