প্রোটিন এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড সমন্বিত অণু। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষেই থাকে বিভিন্ন প্রোটিন। যে কারণে পেশী বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান হলো প্রোটিন।
এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে বিপাক ক্রিয়াকে টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা রক্তচাপ এবং পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রোটিন সমৃদ্ধ কোন খাবারগুলো প্রতিদিন খেতে পারেন-
১. বাদাম
বাদাম ভিটামিন ই, গুড ফ্যাট এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। সুস্থতার জন্য এটি একটি সহায়ক খাবার। নিয়মিত বাদাম খেলে তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
২. ডিম
সবচেয়ে জৈব উপলভ্য প্রোটিন উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম, যা আমাদের শরীর কার্যকরভাবে শোষণ এবং ব্যবহার করতে পারে। ডিমে উচ্চ মানের পুষ্টি এবং প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যে কারণে ডিম খেলে তা স্বাস্থ্যকর পেশী এবং সাধারণ শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. মসুর ডাল
মসুর ডাল নিরামিষভোজী এবং নিরামিষাশীদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ কারণ এতে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন বেশি থাকে। এটি হার্টের জন্যও ভালো। সুস্থ থাকার জন্য মসুর ডাল নিয়মিত খেতে হবে। মসুর ডালে ফাইবার এবং আয়রনও থাকে পর্যাপ্ত। যে কারণে এটি হজম এবং হাড় ভালো রাখে।
৪. দই
দই শক্তিশালী হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে এবং এটি একটি বহুমুখী প্রোটিনের উৎস। দই খেলে তা হজমের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। আমাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশী ভর রাখা কঠিন হতে পারে। এই কাজে সাহায্য করার জন্য দই সহায়ক হতে পারে।
৫. চিয়া সীড
ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া সীড প্রদাহ কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ছোট বীজগুলোতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। সালাদ বা স্মুদিতে চিয়া সীড যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।
৬. পনির
পনির একটি ধীর-হজমকারী প্রোটিন যা বিশ্রামের সময় পেশী পুনর্জন্মে সহায়তা করে। কম চর্বিযুক্ত পনিরে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় নিয়মিত পনির রাখতে পারেন।