ফলাফলের অপেক্ষায় ক্লান্ত বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বশেমুরবিপ্রবি |

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব দেখা গিয়েছে। ফলে, বেশ সমস্যায় পড়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা আট মাস আগে নেয়া হয়েছে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ হয়নি যার কারণে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলাফল প্রকাশের এই দীর্ঘসূত্রতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে চরম হতাশার মধ্যে রেখেছে। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা কোথাও আবেদন করতে পারছে না এবং ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় বিভাগটি স্নাতকোত্তরও (মাস্টার্স) শুরু করতে পারেনি। ফলে, শিক্ষার্থীরা আট মাস ধরে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব  ও মাস্টার্স শুরু না হওয়ায় চরম হতাশাগ্রস্ত।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিভাগের সভাপতি মাহাবুবা উদ্দিন বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা সরাসরি আসুন এবং দেখা করে ডকুমেন্টস দেখুন কেনো ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আমাদের পরীক্ষার খাতা বাহিরে যাওয়ার জন্য ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে ও একটা ফলাফল প্রকাশে একজন শিক্ষকের ওপর নির্ভর করে না এবং একজন শিক্ষক যদি একটা কোর্সের এ্যাসাইমেন্ট মার্কস না দেয় তাহলে আমাদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কেউ কারো না যে অধীনস্থ তাকে জোর করে কাজ করিয়ে নেয়া যাবে।

ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় উক্ত বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিভাগের সভাপতিকে আমরা আবেদপত্র দিয়েছিলাম ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করার জন্য, তিনি আমাদের জুন মাসে সব রেজাল্ট দিয়ে মাস্টার্স শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে করে আমরা অনেক হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের অনেক সহপাঠীর মধ্যে হতাশা থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। আমরা আট মাস ধরে বসে আছি আমাদের পরিবার আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে ভালো কিছু করবো বলে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, শিক্ষকদের গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আমাদের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে, আমদের ফলাফল দ্রুত না দিলে আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো এবং আমাদের কোনো সহপাঠীর কিছু হলে এর দায় বিভাগের শিক্ষক ও প্রশাসনকে নিতে হবে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045020580291748