ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগসংক্রান্ত যে অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি নিজের বলে স্বীকার করে নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরামের’ সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
মাহবুবর রহমান বলেন, ‘অডিওগুলো উপাচার্যের- এটা তিনি বৈঠকে স্বীকার করেছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাই তিনি নৈতিকভাবে ওই চেয়ারে বসার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে পুরো বিষয়টি সঠিক তদন্তসাপেক্ষে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
ড. মাহবুবর রহমানের বক্তব্য মিলিয়ে দেখতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের সঙ্গে সাংবাদিকতা বিভাগের চাকরিপ্রাথী অলিউল রহমানের ‘নিয়োগ সংক্রান্ত’ একটি কথোপকথন ফাঁস হয়। সেখানে উপাচার্যের কণ্ঠের মতো কাউকে বলতে শোনা যায়, টাকা দিয়ে হলেও দুজন প্রার্থী সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়েও আলাপ করতে শোনা যায়। পরে আরেকটি অডিও সামনে আসে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।
অডিও ফাঁসের পর দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তার অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ও অস্থায়ী কর্মচারী পরিষদ।