এমপিওভুক্ত ফাযিল ও কামিল মাদরাসায় আরো কর্মচারী পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফাযিল ও কামিল মাদরাসার জনবল কাঠামোতে আরো একটি করে অফিস সহকারী পদ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বুধবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজিত এক কর্মশালায় এ নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে, বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ফের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। পরে সংশোধিত এমপিও নীতিমালা জারির পর তা কার্যকর হবে। কর্মশালায় অংশ নেয়া সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানান, মাদরাসায় এমপিও নীতিমালায় কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে দিক নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিলো। ওই কর্মশালায় ফাযিল ও কামিল মাদরাসায় আরো একটি করে অফিস সহকারীর পদ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা প্রস্তাবনা আকারে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হবে। বিষয়টি অনুমোদিত হলে সংশোধিত জনবল কাঠামো জারি করবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
কর্মকর্তারা বলছেন, তিন অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালায় বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতে এমপিও নীতিমালায় কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হচ্ছে। তাই মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে নীতিমালা সংশোধন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে কর্মশালায় আলোচনা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সংশোধিত নীতিমালায় এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে তা জারি করবে।
জানতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বুধবার রাতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এমপিও নীতিমালা সংশোধনের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়গুলো আমরা প্রস্তাবনা আকারে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠাবো। পরে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অংশীজনদের নিয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।