এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত কাজে সাহায্য পাঠাল রাশিয়া। রাশিয়ার জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে দুটি বিমান পাঠিয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রেস সার্ভিস শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
এক রুশ মুখপাত্র বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্টের গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে মানবিক পণ্য পরিবহনের জন্য রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়ের দুটি Il-76 বিমান পাঠানো হয়েছে।’ এসব পণ্যের সামগ্রিক ওজন ২৮ টন। সেখানে বিভিন্ন ওষুধ, হেমোস্ট্যাটিক এজেন্ট এবং ব্যান্ডেজিং উপকরণ রয়েছে। কার্গো দুটি মিসরীয় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর তারা এসব পণ্য গাজা উপত্যকায় পৌঁছে দেবে।
এর আগে, রুশ মন্ত্রণালয় গাজার বাসিন্দাদের জন্য ২৭ টন খাদ্য সরবরাহ করেছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৭টি মসজিদ এবং সাতটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া গত তিন সপ্তাহে গাজায় ২০৩টি স্কুল ও ৮০টি সরকারি অফিস ধ্বংস হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) গাজার জনসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
হামাস শাসিত গাজার জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক সালামা মারুফ আলজাজিরা আরবি বিভাগকে বলেছেন, ইসরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলায় গাজায় দুই লাখ ২০ হাজার আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৩২ হাজার ভবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে গাজার জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছিল, একটি অর্থোডক্স সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং একটি স্কুলে বোমা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। স্কুলটিতে দেড় হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তিন সপ্তাহের অব্যাহত বোমা হামলায় গাজায় আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার শিশু এবং দুই হাজারের বেশি নারী রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো ২০ হাজার মানুষ।