দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বন্ধে আল্টিমেটাম দেয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু আল্টিমেটামের সয়মসীমা পার হয়ে গেলেও বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে না আসায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দু-এক আগে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। পরবর্তীতে যা পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ শিক্ষার্থী।
তাঁবু সরিয়ে নেওয়াসহ বিক্ষোভ বন্ধে গতকাল সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে তার। তবে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করে গতকালও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীদের তাঁবু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। তারা নির্দেশ মানেননি।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ‘বেসবলের সমান’ পাথর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশির ভাগ বিক্ষোভকারীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জর্জ লোব নামের এক আইনজীবী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, অস্টিন ক্যাম্পাস থেকে সোমবার প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে বিবিসির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তারা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, কলম্বিয়ায় যা ঘটছে, সেটা অপমানজনক। ইহুদিবিদ্বেষী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসটি দখল করে ফেলছেন। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিকের পদত্যাগ দাবি করেছেন।