ফেনী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

ফেনীর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সজেকা, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক খোকন চন্দ্র মোহন্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, কুমিল্লার মুরাদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে আরো ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭৩ টাকার সন্ধান মিলেছে যার হিসেব যথাযথভাবে দিতে পারেননি তিনি।

দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আবুল কালাম আজাদের কাছে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। এরপর ওই শিক্ষক ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শণ করেন। 

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মো. আবুল কালাম আজাদ ১৯৮৭ ক্রিষ্টাব্দে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার ৭৩৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ১ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮২২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
এতে আরো বলা হয়, আসামির দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে বিভিন্ন উৎস হতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৩১ হাজার ৫৩৬ টাকা। পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৪২ লাখ ১৪ হাজার ৯৫৪ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বাদে তার সঞ্চয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি। তথ্য যাচাইয়ের পর তার ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন দেখা যায় যা  শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানে মো. আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন করবর্ষে প্রদর্শিত ভাইয়ের কাছ থেকে ঋণ, স্ত্রীর স্বর্ণ বিক্রি থেকে ঋণ, স্ত্রীর পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি, স্ত্রীর ভাইয়ের থেকে ঋণ, ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার গ্রহণযোগ্য প্রমাণ সরবরাহ করতে না পারায় তা বৈধ আয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। এ ছাড়া, তার আয়কর নথি পর্যালোচনাতেও তা পাওয়া যায়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053489208221436