ফের নীলক্ষেত অবরোধ করলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানি, পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পরও অনুত্তীর্ণ করার অভিযোগসহ সাত দফা দাবিতে আদায়ের আবারো নীলক্ষেত অবরোধ করেছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সোয়া দুইটায় নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা৷ এর ফলে রাস্তার চারপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের কোনো দাবিই মানা হয় নি। যা বলা হচ্ছে সব ভাসা-ভাসা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের দাবি, ঢাবি কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করছে। তারা অবিলম্বে সাত দফা দাবির বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বৈষম্যের নিরসন চান।

এর আগে বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২ টায় নিউমার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন তারা। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। পরে সেখান থেকে বের হয়ে তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে।

এদিকে সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুপুরে কথা হয়েছে। তাদেরকে সবকিছু বুঝিয়েও বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাত দফা দাবির মধ্যে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। তারা এখন প্রমোশন চাচ্ছে, এটা তো আমাদের হাতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যে নিয়ম। এর মধ্যে অনেকেই সমন্বয়ের ফল আগামীকাল প্রকাশিত হবে, এতে অনেকেই পাস করে যাবে। দুই ঘণ্টা সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরও তারা কেনো নীলক্ষেত অবরোধ করবে বিষয়টি আমার বোধগম্য না। 

শিক্ষার্থীদের সাতদফা দাবি গুলো হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। সব বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে। বিলম্বে ফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস ( ৯০ দিনের মধ্যে) ফল প্রকাশ করতে হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক ঠিক করে দিতে হবে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034759044647217