ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়েছেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মুক্তা সুলতানা। চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় এ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না দাবি করে পুড়িয়ে দেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৩ মে) ইডেন কলেজের সামনে মুক্তা তার নিজের ফেসবুক লাইভে থেকে আগুন ধরিয়ে দেন সার্টিফিকেটে।
সেশনজট ও করোনার কারণে চাকরির আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দেন মুক্তা।
লাইভের ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সার্টিফিকেট পোড়াচ্ছেন। এর আগে তিনি দেখান, তার স্নাতক পরীক্ষা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তার পরীক্ষা হলেও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে তার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে পরীক্ষা দিয়েও তিনি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ৪ বছর কোথাও আবেদন করতে পারেননি।
এদিকে চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার আবেদনের সময়ের চার বছর কাজে লাগাতে পারেননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তা বলেন, যে সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় না, বেসরকারি চাকরিতেও আবেদন করা যায় না, সে সার্টিফিকেট রেখে কি লাভ? পোকামাকড়ে খাওয়ার চেয়ে ছাই বানানো অনেক ভালো।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও এই বয়স সীমা নেই। শুধু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে এ অবস্থা। ২৭ বছর পড়াশোনা করে যদি আবেদনই না করতে পারি, তা হলে পড়াশোনা করে লাভ কী?
এর আগে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০-৩৫ করার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন মুক্তা।