ফেসবুকে টাকার ছবি দিয়ে ফেরত চাইলেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ, কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগ এবং সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি সোমবার (১০ জুলাই) রাতে ঘোষণার পর পরই পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তিনটি ইউনিটের কমিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ স্থগিত করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

অভিযোগ শুরু করেছিলেন কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার। তিনি কমিটি বাবদ দেওয়া টাকার বেশ কয়েকটি ছবিসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। আশিক তালুকদার তার ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যে টাকাগুলো নিয়েছেন ফেরত দেন, নাইলে গনভবনে যাবো বাকি ডকুমেন্ট নিয়ে।’

এদিকে কমিটি ঘোষণার পর আশিক তালুকদার তার মোবাইলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলামের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন- এমন একটি অডিও রেকর্ডও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এ ব্যাপারে আশিক তালুকদার বলেন, ‘আমি ক্যান্ডিডেট হতে চাইনি, যেহেতু আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এরপরও জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম আমাকে ক্যান্ডিডেট হতে বলে। বিভিন্ন সময় সে বিভিন্ন অজুহাতে ২০ হাজার, ৩০ হাজার এমনকি পাঁচ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছে। তার এক খালাতো ভাই এর মাধ্যমেও টাকা নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ কোরবানির চার থেকে পাঁচ দিন আগে আমাকে ফোন করে বলে কমিটি দেওয়া হবে, কি করলি। আমার কাছে সে ২০ লাখ টাকা চাইলে আমি বলি ভাই এত টাকা কিভাবে দিব। পরে আমি তাকে ১৫ লাখ টাকা দেই। পটুয়াখালী নেছারিয়া মাদরাসার দিকে যেতে হাতের ডানে খান মোশারেফ হোসেনের বাসার সিঁড়িতে বসে সে আমার কাছ থেকে টাকা নেয়।’

আশিক তালুকদার বলেন, ‘১৫ লাখ টাকার মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিল ছিল ১২ টা, পাঁচশ এবং এক হাজার টাকার মিলিয়ে একটি বান্ডিলে ছিল এক লাখ টাকা এবং বাকিগুলো ছিল এক হাজার টাকার বান্ডিল।’

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আশিক তালুকদার যে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সেটি সত্য নয়, ছবিতে আশিকের বিছানার চাদরও দেখা যাচ্ছে।’ তবে কল রেকর্ডের ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

কমিটি স্থগিত করার কারণ জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘সে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে। আমাদের এখনো জানানো হয়নি।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা - dainik shiksha শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048849582672119