কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফেসবুকের ছবি পোস্ট করা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে তানজিল (২০) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। শনিবার (২০ মে) বিকালে উপজেলার পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিল শেখ (২০) পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসীপাড়া গ্রামের মনিরুল শেখ ওরফে মনোর ছেলে। সে পান্টি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্র তানজিলসহ কয়েকজন বন্ধু কোচিং শেষে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গল্প করছিলেন। এসময় অপর বন্ধু পান্টি বাজারের চা বিক্রেতা মিলন হোসেনের ছেলে ইমন ওরফে ওবাইদা (২০) এসে তাদের সাথে গল্প শুরু করেন। একপর্যায়ে তানজিলের সাথে ইমনের তর্কবিতর্ক হয়। এরই মধ্যে ইমন তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে কয়েকটা আঘাত করে। এতে সে আহত হয়ে পড়লে অন্য বন্ধু ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং তানজিলের বন্ধু স্বাধীন বলেন, কোচিং শেষে আমরা গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে তানজিলের সাথে ফেসবুকের ছবি পোস্ট করা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এসময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমন তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এতে আহত হয়ে সেখানেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে তানজিল ।
এ বিষয়ে নিহতের বোন লামিয়া বলেন, তার ভাই কোচিং শেষে পান্টি স্কুল মাঠে পৌঁছালে ইমন ছুরিকাঘাত করে। কিন্তু কী কারণে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানি না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, তানজিল নামের এক যুবককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু ও স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরিরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ঘাতক ইমন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত হয়েছে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা তা তিনি জানতে পারেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।