ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে ক্ষমা চাইলেন সেই প্রকৌশলী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি |

বরখাস্ত হওয়া রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ‘বিডব্লিউডিবি ফ্যামিলি’ নামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রুপে একটি ভিডিও এবং ফটো পোস্ট করে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রনিকে মারধর করার জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘ওই দিন ঘটনাটি ইমোশনাল ইমব্যালান্সের জন্য ঘটেছে।’ এ সময় তাঁর পাশে মো. রনিও উপস্থিত ছিলেন।  

২৩ নভেম্বর আবদুল আহাদ নিজের কক্ষে মো. রনিকে চেয়ারসহ মেঝেতে ফেলে গলা চেপে ধরেন এবং এনটি কাটার হাতে নিয়ে শাসান। পরদিন দুপুরে রনির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল আহাদকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রশিক্ষণ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে সংযুক্ত করে পাউবো।

ফেসবুক গ্রুপের পোস্টে আবদুল আহাদ লিখেছেন, ‘আমরা মানুষ, যা ঘটেছে, তার জন্য আমরা বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চাচ্ছি। “উই আর ইউনাইটেড অ্যাগেইন”।’ আবদুল আহাদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রুপে ভিডিও এবং ফটো পোস্ট করলেও, নিজের টাইমলাইনে কোনো পোস্ট দেননি। 

ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে ভিডিওতে আবদুল আহাদ বলেন, ‘আমাদের কাজের প্রেশার, বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা আমাদের টেম্পার রাখতে পারিনি। আমরা একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করি। কিন্তু ১০ সেকেন্ডে আমাদের যেমন দেখা গেছে, আমরা কিন্তু ওই রকম মানুষ না। এই সমস্ত জিনিসপত্র মনে রাখার মতো আমাদের হাতে সময় নেই। আমাদের হাতে অনেক কাজ। যেটা ঘটে গেছে, সেটার জন্য আমরা অনুতপ্ত, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এটাও অনুরোধ করি, এই জিনিসগুলো আসলে পেপারে, টেলিভিশনে যাওয়ার মতো বিষয় না, ফেসবুকে যাওয়ার মতো বিষয় না। 

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়ানোর মতো বিষয় না। আমরা প্রত্যেকেই যেকোনো জায়গায় একটু সহনশীল আচরণ করা দরকার। এই জিনিসগুলো এইভাবে ভাইরাল করা আমাদের ঠিক হয় নাই। আমি যদি একটা অন্যায় করে থাকি, বিচার করার জন্য আমার সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী আছেন, প্রধান প্রকৌশলী আছেন, বোর্ড আছে। ভাইরাল করার কারণে ডিগ্রি (বিএসসি) প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে একটা ক্ল্যাশ তৈরি হয়, সেটা কাম্য নয়। আমরা কিন্তু আজকে পাশাপাশি বসে আছি। আমরা কিচ্ছু মনে রাখি নাই। এগুলো যেন ভাইরাল না করে, এই জিনিসটা যেন এখানেই স্টপ হয়ে যায়। কেউ যাতে এটা নিয়ে রাজনীতি না করতে পারে। সে (রনি) আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমার দিক থেকে তার প্রতি কোনো খেদ নাই, হুমকি নাই।’

ভিডিওতে রনি বলেন, ‘কী বলব, বুঝতে পারছি না। স্যার আসলে...কাজ করতে যেয়ে বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমাদের বিভিন্ন জিনিস ভাঙছে, প্রচুর প্রেশার ছিল। ওই জন্য আমারও মাথা ঠিক ছিল না। আমার চাকরির অভিজ্ঞতা বেশি না। ভুল আমারও হতে পারে। আমরা তো মানুষ, আমরা তো যন্ত্র না যে আমাদের ভুল হবে না।’

আবদুল আহাদের পোস্টের কমেন্টে ফেসবুক গ্রুপটির সদস্যদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া করতে দেখা গেছে।

এদিকে ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে জানতে সোমবার আবদুল আহাদ এবং মো. রনির মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে তাঁরা ফোন ধরেননি। দুজনের নম্বরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.016680002212524