ফেসবুক নিঃসন্দেহে ঘৃণাকে আরও তীব্র করে তোলে। সেই সঙ্গে কোম্পানিটির নিরাপত্তা দলে লোকবল সংস্থান অপর্যাপ্ত। নিরাপত্তার খাতিরে সামান্য মুনাফাও ছাড় দিতে রাজি নয় ফেসবুক—এমনটা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। সম্প্রতি ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ গবেষণাপত্র ফাঁস করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন তিনি।
গতকাল লন্ডনে এমপি ও লর্ডসের একটি কমিটিতে এ কথা বলেন ফ্রান্সেস হাউগেন। জায়ান্ট এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর যুক্তরাজ্যে নতুন নিয়ম আরোপ করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ওই কমিটির বৈঠক হয়।
ফ্রান্সেস হাউগেন সতর্ক করে বলেন, ইনস্টাগ্রাম অন্য সামাজিক মিডিয়ার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। অন্য সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে পারফরম্যান্স, খেলা বা ধারণার আদান-প্রদানের বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়, তবে ইনস্টাগ্রাম হলো সামাজিক তুলনার জায়গা। এখানে মানুষের শারীরিক গঠন, মানুষের জীবনধারা সম্পর্কে আলোচনা হয়, যা বাচ্চাদের জন্য খারাপ। তিনি বলেন, ‘আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ১৪ বছর বয়সের জন্য ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ করা সম্ভব না–ও হতে পারে এবং আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে এটি ১০ বছর বয়সের জন্যও নিরাপদ করা সম্ভব কি না।’
কমিটি একটি প্রস্তাবিত আইনকে ঠিকঠাক করছে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপ হবে। এ ছাড়া ব্রিটেনের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অফকম সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো নিরীক্ষণে রাখবে।
মিসেস হাউগেন আরও সতর্ক করেছিলেন যে বিশ্বজুড়ে একাধিক ভাষায় করা বিভিন্ন পোস্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ফেসবুকে। যে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
গত ৫ অক্টোবর ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন প্রতিষ্ঠানটির সংস্কৃতি নিয়ে বড় ধরনের বোমা ফাটান। মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হয়ে ফেসবুকের সাবেক কর্মী হাউগেন প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে লুকিয়ে থাকা সব ধরনের শঠতা ও নোংরামির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বিশ্বের সামনে হাউগেন বললেন, ২৭০ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর এই সাইটটি মানুষের মধ্যে জেনেবুঝে বাজে খাদ্যাভ্যাসকে প্রচার করছে। এ ছাড়া গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।