চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শনের নাম। সেই দর্শন হচ্ছে অসাম্প্রায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্ন উন্নত-সমৃদ্ধ একটা সোনার বাংলা গড়া। শৈশব-কৈশোরে বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রতিবাদী ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল। আমাদের শিশু-কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানে আমাদের সমাজে শিশুশ্রম দেখা যাচ্ছে। তাদের শিক্ষার সুযোগ দিয়ে মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। একইসাথে স্কুল-কলেজে ড্রপআউটের হার কমিয়ে আনতে হবে। আজকের প্রজন্মের হাত ধরেই সরকারের ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন বাস্তবায়ন করতে হবে।
শুক্রবার সকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পক্ষে পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েমসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পরে চুয়েটের স্থানীয় প্রদীপ স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ের সামনে থেকে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্ত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও চুয়েট ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রী ও ক্যাম্পাসের শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ ইত্যাদি।