১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে জুলিও কুরি পদক পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ বছরের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক পাওয়ার ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন করা হবে। দিবসটি উদযাপনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। এছাড়া দিবসটি উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, সব মসজিদ মন্দিরে প্রার্থনা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর এ পদক প্রাপ্তির ছবি সংবলিক স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ করা হবে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সভার কার্যবিবরণী দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে আছে।
জানা গেছে, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মানবতার কল্যাণে এবং শান্তির পক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে শান্তিপদকে ভূষিত করে আসছে। নোবেল বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও ফ্রেডেরিক জুলিও কুরির নামানুসারে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পদকের নামকরণ করে 'জুলিও কুরি' পদক। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোয় অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করে। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি' শান্তি পদক দেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক দিয়েছিলো বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার নিরলস প্রচেষ্টা, তাঁর কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন ও প্রজ্ঞার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এ অর্জন বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছিলো। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবের আমেজে উদযাপনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়নে গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই সভার আয়োজন করে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দিবসটি উদযাপনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সব জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ২৩ মে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা সভা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভিডিও ডকুমেন্টারি, ব্যানার তৈরি, রেডি টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সেচ্ছায় রক্তদান ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও কুই প্রতিযোগিতা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।